চুরির ঘটনা ও চোরকে চিনে ফেলায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্কুল ছাত্রীকে খুন করার অভিযোগ করেছে পরিবারের লোকজন। বৃহস্পতিবার সকালে জামতলা ধোপাপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম সোনালী দাস (১০)। সে জামতলা ধোপাপট্টি এলাকার ডা. আরিফের বাড়ির ভাড়াটিয়া শ্যামল দাসের মেয়ে। সোনালী মাসদাইর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী।
পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে পরিচিত অজ্ঞাত কোন চোর ঘরে প্রবেশ করে আলমারীর তালা ভেঙ্গে নগদ ২০ হাজার টাকা ও ৭ ভরি স্বর্ণ লুটে নিয়ে পালানোর সময়ে চিনে ফেলায় তাকে মাথায় ও গলায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের বাবা গাড়ি চালক শ্যামল দাস জানান, তাদের তিন মেয়ে। তার মধ্যে সবার মেঝ মেয়ে সোনালী। সকালে তার স্ত্রী মালা রানী স্থানীয় একটি ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যায়। এর আগে তার বড় মেয়ে সূচনা (১৪) ও ছোট মেয়ে স্বর্ণা (৭) স্কুলে চলে যায়।
১১টায় মেঝ মেয়ে সোনালী স্কুলে যাওয়ার জন্য স্কুল ড্রেস পড়ে। পরে পাশের একটি বাড়িতে যাওয়ার পর ফেলে রাখা বই নিতে আবারো বাসায় যায়। বিকেল ৪টায় পরিবারের লোকজন ঘরে প্রবেশ করে দেখে সোনালী ফ্লোরে পড়ে আছে তার মাথায় ও গলায় আঘাতের দাগ রয়েছে।
তখন ঘরের আলমারী ভাঙ্গা ছিল। সেখানে থাকা সাত ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ২০ হাজার টাকাও পাওয়া যায়নি।
শ্যামল আরো জানান, আমাদের ধারণা চোর আমাদের পূর্ব পরিচিত। চুরির ঘটনা দেখে ফেলা ও চোরকে চিনে ফেলার কারণেই সোনালীকে আঘাত করে হত্যা করেছে।
ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আলী জিন্নাহ জানান, নিহত সোনালীর মাথায় ও গলায় রক্তাক্ত জখমের দাগ রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক চোরকে সনাক্তের চেষ্টা চলছে।